৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার যা মানুষের উপকার করেছে

অনেকের ৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা নেই। তাই তারা জানতে চায় এই প্রযুক্তি গুলো সম্পর্কে। এগুলো আমাদের বাস্তব জীবনে কি প্রভাব ফেলতে পারে, সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ সকল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানেনা। তারা যেহেতু এই সকল প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কেও জানেনা, এজন্য অসুবিধা হতে পারে। এই জন্য এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাই ৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃ৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার যা মানুষের উপকার করেছে

৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার

বৈজ্ঞানিকরা আধুনিক যুগে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে। তাই ৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। তাই ৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

পূর্বে আমরা বিনোদনের জন্য ব্যবহার করেছি ডিভিডি, সিডি, টিভি ইত্যাদি। বর্তমানে এই সকল জায়গাগুলো দখল করে নিয়েছে ইউটিউব প্লে নেটফ্লিক্স যার কারণে প্রতিদিনই যে কোন প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে এবং গোটা বিশ্ব পরিবর্তন হচ্ছে। চলুন ৩০ টি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনে নেই।

অ্যাপল আইফোনঃ মোবাইল এর জগতে সবচাইতে বিস্ময়কর এবং দামি সেট অ্যাপল আইফোন, যা প্রযুক্তিবিদরা বলে থাকে এই ফোনটির সর্বোচ্চ ব্যবহার এখনো বলা খুবই কঠিন। এর প্রতিষ্ঠাতা ২০০৭ সালে ফ্রান্সিস্কতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আইফোনের মূল্য দেওয়ার জন্য এবং সে অনুষ্ঠানে তিনি এই আইফোনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর ছয় মাস পরে বাজারে আসা শুরু করেছে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঘোষণা অনেক জনই দিয়ে থাকে কিন্তু স্টিভ জব ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং মোবাইল ফোন ইন্টারনেটের জগতে অনেক কিছু আবিষ্কার করেছেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে একসময় এই আইফোন সবার কাছে প্রিয় ছিল, যা ওই সময় শীর্ষ ৫০ টি গেজেট প্রকাশ করা হয়।

ওয়াইফাইঃ ওয়াইফাই হল তারবিহীন একটি নেটওয়ার্ক যা মোবাইল ও ফেসবুক চালাতে ভালো সুবিধা হয়। অনেক আগে থেকেই সবাই ব্যবহার করে থাকে, তবে বর্তমানে এর গতি অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আমাদের কাজের জন্য খুবই প্রয়োজন।

ইন্টারনেট ভিত্তিক ডিভাইসঃ ওয়াইফাই এর মাধ্যমে এখন নেট বাজারে হাজার হাজার ডিভাইস চালানো হচ্ছে। যার কারণে ঘরে বসে আপনার বহু দূরের কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারছেন।

ব্লুটুথঃ এটা আরো ২০-২৫ বছর আগে থেকেই চালু হয়েছে, যা অনেকেই জেনে থাকেন। এটা মূলত ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভালো জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল কিন্তু বর্তমানে ব্লুটুথ এর ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সবাই কাজ করে থাকে সাধারণত ব্লুটুথ এর প্রয়োজন হয় না।

ভিপিএনঃ ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের যদি সার্ভিস দিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনেটে সুরক্ষিত থাকবে। এই প্রযুক্তির কারণে অনলাইন দুনিয়ায় সাধারণ মানুষ অনলাইনে আলাদা করে থাকে। এটা ব্যক্তিগত তথ্য ইন্টারনেটের সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং এই প্রযুক্তির কারণে অনলাইনে সাধারণত মানুষ এর উপর নির্ভর করতে পারে।

বিটকয়েনঃ এটা এমন একটি জিনিস যা ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না ব্যাংকে রাখা যায় না শুধুমাত্র এটা একটি মুদ্রা ইন্টারনেট দুনিয়ায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই মুদ্রা লেনদেন চলছে চলবে চলতেই থাকবে। 
ভার্চুয়াল মুদ্রার এই মার্কেটে বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা অনেক রয়েছে। অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটে ব্যবসা করে থাকে।
এটি মূলত অনলাইনে আপনার একাউন্ট থাকবে সে একাউন্টে আপনার মুদ্রা সম্পর্কে সংরক্ষিত করা হবে। ভার্চুয়াল এই মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ব্যাংক থাকে না ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইন দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি আদান প্রদান হয়ে থাকে, লেনদেনে নিরাপত্তা জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি। এ পদ্ধতির কারণে লেনদেনের করতে কোন সমস্যা হয় না।

ফেসিয়াল রিকগনেশনঃ এটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চেহারার দ্বারা যে কাউকে চিহ্নিত করা যাবে যেমন মনে করুন ফেসবুকে আপনার ছবি আপনার কোন বন্ধু তালিকার কেউ ছবিটা পোস্ট করে দেয় সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে।

তার ওপর একটি বক্স থাকবে এর মাধ্যমে আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন। এতে সহজেই অপরাধীকে ধরা যাবে, তবে বিষয়টি খুবই নিরাপত্তা বিষয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ বর্তমানে এমন কিছু ডিভাইস বের হয়েছে যা মানুষের পরিবর্তে তারা কাজ করে থাকে। এমন কিছু তৈরি করেছেন যেটা মানুষের মত কাজ করবে, তার মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দিবে। তাকে যে দিক নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী সে কাজ করবে। এতে মানুষের অনেক সময় পরিশ্রম কমে গেছে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিংঃ এটা মূলত জটিল হিসাব করার জন্যব্যবহার করা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এই মেশিনটা ব্যবহার করে বিগত ১০ বছরের হিসাব অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে পারবে। যা গুগল তথ্যটি জানিয়েছে, যে এটি মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে আপনার বিগত ১০ বছরের হিসাব অতি সহজে করে দিবে।

থ্রিডি প্রিন্টিংঃ এটা এমন একটি প্রিন্টিং মেশিন যেখানে কোন বস্তুর ছবি মনে হবে জীবন্ত ছবি। যা এই মেশিনের মাধ্যমে প্রিন্টিং করে বের করে নিয়ে আসবে। দেখতে একদমই জীবন্ত প্রাণী বা বস্তুর মত মনে হবে।

কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইন করে সফটওয়্যার মাধ্যমে থ্রিডি ইমেজ তৈরি করা যাবে, এরপরে প্রিন্টারে বের করতে পারবেন। আর প্রিন্টারটা বিভিন্ন স্তরের তরল থাকে, কাগজ বা ধাতব উপাদান দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। এটা এমন একটি প্রযুক্তি যাতে কম্পিউটারের সাথে জুড়ে দেওয়া যায়। এই ডিজাইন খুব সহজেই অনলাইনে শেয়ার করতে পারবেন।

উপরোক্ত এই প্রযুক্তি গুলো ছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রযুক্তি রয়েছে সেগুলো হল; ভিডিও কল কনফারেন্সিং, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, আরএফআইডি, চালক হিন গাড়ি, অ্যাপ, মিউজিক স্ট্রিমিং, ভিডিও স্ট্রিমিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্য, ই সিগারেট, র‍্যানসামওয়্যার, ডিএনএ টেস্টিং কিট, ড্রোন, এমপিথ্রি, ব্লক চেইন।

প্রযুক্তি ব্যবহারে শুদ্ধাচার

প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিশুদ্ধ থাকতে হবে। তাই প্রযুক্তি ব্যবহারে শুদ্ধাচার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি প্রযুক্তির সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
  • আপনি যদি লাউডস্পিকারে কথা বলতে চান সে ক্ষেত্রে চিন্তা করতে হবে, যেন অন্যের ক্ষতি না হয় সেভাবে আপনাকে কথা বলতে হবে। এছাড়া যদি আপনার জোরে কথা বলতে হয় সেক্ষেত্রে পাশে যিনি আছেন তার অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন।
  • আপনাকে যখন কেউ ভিডিও কল দিল সেটা রিসিভ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আশেপাশে খেয়াল করে তারপরে রিসিভ করতে হবে।
  • সময় জানানোর জন্য মোবাইল ফোনের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না, সে ক্ষেত্রে আপনার হাতঘড়ি থাকতে হবে।
  • কথা বলার ও গান শোনার ক্ষেত্রে অন্যের যেন অসুবিধা না হয় সেদিকে সচেতন হবেন।
  • ব্যক্তিগত ছবি ওয়ালপেপার এগুলোর মানসম্মত ছবি রাখতে পারেন, যেন অন্য কেউ দেখে বিব্রতকর অবস্থা না হয়, কোন ধরনের অশ্লীল ছবি রাখবেন না।
  • কারো অনুমতি ছাড়া তার ফোন কল রেকর্ড করা যাবে না।
  • স্মার্টফোনের যে পাসওয়ার্ড দিবেন বা পিন নাম্বার দিবেন সেটা অবশ্যই আলাদাভাবে লিখে রাখবেন যেন পরবর্তীতে ভুলে গেলে আপনার সমস্যা না হয়।
আপনি যদি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর যদি আপনি ডিজিটাল প্রযুক্তি গুলো ব্যবহার করেন যেমন মোবাইল, এটা যদি আপনি বেশি আসক্ত হয়ে যান সে ক্ষেত্রে মানসিক হতাশাগ্রস্ত হবেন এবং সমাজের লোকজন আপনাকে অন্য দৃষ্টি কোনে দেখবে।

তাই ডিজিটাল প্রযুক্তিকে যে কাজের জন্য ব্যবহার করা প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করতে হবে এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে,সময়ের অপচয় করা যাবে না। প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি শুদ্ধাচার নীতি অনুসরণ করবেন, তাহলে আপনার জীবনে প্রযুক্তির প্রতি আসক্ত হবেন না।

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে

প্রযুক্তি আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারি, এটা আমাদেরকে কিভাবে প্রভাবিত করছে। সেটা দেখার বিষয়,তাই প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করে এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
এই প্রযুক্তি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা হয়েছে কিন্তু পূর্বে তেমন একটা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ছিল না। সেই সময় দেখা যেত টেলিভিশনের মাধ্যমে মানুষ বিনোদন করত, ইন্টারনেট ছিল না, মোবাইল ফোন ছিল না প্রযুক্তিটা অনেকটাই কঠিন ছিল।

কম্পিউটারের তেমন ব্যবহার ছিল না ল্যাপটপ এগুলো কোন কিছুই ছিল না। শুধু ছিল ডিভিডি ভিডিও প্লেয়ার সিডি ক্যাসেট এগুলোর মাধ্যমে মানুষ বিনোদন করতো কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগে শত শত প্রযুক্তি বের হয়েছে, যা আমরা ব্যবহার করছি। যেগুলোর মাধ্যমে আমরা কাজও করতে পারছি এবং বিনোদন নিতে পারছি।

বর্তমানে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সারা দুনিয়া হাতের মধ্যে নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি। আগের যুগে বিনোদনের মাধ্যম ছিল রেডিও, টেলিভিশন সিডি, সিনেমা হল কিন্তু বর্তমানে একটা স্মার্ট ফোন হলে সকল কিছুই দেখা যায়।

আগের যুগের মানুষজন একে অপরের সাথে কথা বলে সময় কাটাতো বন্ধু-বান্ধব গল্প করত একসাথে কাজ করতো আড্ডা দিতো স্বামী স্ত্রীকে সময় দিতে পারতো কিন্তু বর্তমানে একটি মোবাইল ফোন হাতে থাকলে আর কারো কিছু প্রয়োজন হয় না। এটা আমাদের জীবনকে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনকে অত্যাধুনিক প্রভাবিত করেছে।

একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন একই ঘরে একই বিছানায় শুয়ে আছে স্বামী স্ত্রী একই রুমে আছে রাত চলে যাচ্ছে তবুও তাদের সাথে কোন কথাবার্তা নেই। দুজনের দুইটা হাতে মোবাইল থাকার কারণে তারা মোবাইলে ব্যস্ত থাকে, এই ক্ষেত্রে তাদের মাঝে সেই আন্তরিকতা বিষয়টা কমে যাচ্ছে। তাই মোবাইল ফোন আমাদেরকে খুবই প্রভাবিত করেছে।

আগের যুগে যেখানে ক্ষেতের ফসল কাটার জন্য ১০ থেকে ২০ জন কামলা বা কর্মচারী নেওয়া হতো কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির নির্ভর হওয়ার কারণে এই ধান কাটার জন্য একটি মেশিন যথেষ্ট এবং একটি লোকই যথেষ্ট পরিমাণ কাজ করে ফেলে। তাই আজকের লোকজনের এই ধরনের কর্মসংস্থান না থাকার কারণে তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।

শুধু কৃষি খাতেই কি এরকম মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নিয়েছে তা কিন্তু নয়। এই প্রযুক্তি আমাদেরকে অলসতা করে ফেলেছে, সমাজ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। বন্দি পাখির মত ঘরের মধ্যে থাকতে শিখাচ্ছে নীতি-নৈতিকতা সকল কিছু হারিয়ে যাচ্ছে। একজন নারীর অশ্লীল ছবি নিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে।

তাহলে দেখুন এই প্রযুক্তি আমরা সঠিক ব্যবহার না করার কারণে কতটা আমাদেরকে ক্ষতি করেছে বা প্রভাবিত করেছে। আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগে আমাদের লোকজন হজ করতে যেত কমপক্ষে ছয় থেকে বারো মাস পর্যন্ত হাতে সময় নিয়ে যেতেন।
আর বর্তমানে ১২ ঘন্টার মধ্যে তারা হজে যেতে পারতেছে এবং হজের সময় এক মাসের মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে।

আজ থেকে ২০-৩০ বছর আগে একটা মৃত্যুর সংবাদ চিঠির মাধ্যমে পৌঁছাতে ৭ থেকে ১৫ দিন সময় লেগে যেত আর এখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চলে আসে। আবার যদি সাম্প্রতিক কোন কিছু জানতে চান সে ক্ষেত্রে গুগলকে জিজ্ঞেস করলেই আপনি সকল কিছু পেয়ে যাবেন।

আপনি এই গুগল থেকে সকল কিছু তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন এক মিনিটও সময় লাগবে না। এছাড়াও যদি কোন বিষয়ে আপনি লেখালেখি করতে চান সে ক্ষেত্রে চ্যাট জিপিটি নামের একটি প্রযুক্তি বের হয়েছে যা বড় ধরনের একটি প্রবন্ধের মতো লিখে ফেলবে, তাহলে দেখুন আজকে প্রযুক্তি আমাদেরকে কোথায় নিয়ে গেছে। আবার এআই এর কথা বলবেন যা আপনার সকল কিছু বললেই সঙ্গে সঙ্গে করে দিচ্ছে তাহলে দেখুন প্রযুক্তি কতটা উন্নত।

আজ থেকে ১০০ বছর পূর্বে জন্ম নিয়ে যে কাজটা করেছে তা ২০০ বছর সময় লেগে যেত কিন্তু সেটা এখন ৫০ বছরেই অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে। যাহোক পজেটিভ নেগেটিভ সকল কিছুই থাকবে তারপরে এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে যদি ব্যবহার করতে পারি তাহলে এটা দ্বারা আমরা সুবিধা পাব এবং উপকৃত হব। আর যদি এটা অপব্যবহার করি সে ক্ষেত্রে এটা আমাদেরকে মারাত্মক ক্ষতি করবে।

তাই বর্তমানে এই সকল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবার থেকে সন্তানাদিদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা একটা শিশুকে যদি এই স্মার্টফোন দেওয়া হয় তাহলে সে পড়াশোনায় মনোযোগী হবে না এবং সেগুলোর মাঝে যে ভিডিওগুলো দেখবে সেরকম সে আচরণ করবে অথবা গেমস খেলবে এতে তার মেধা বিকৃতি হয়ে যাবে, নেশায় আসক্ত হয়ে যাবে।

তাই এই বিষয়গুলো প্রত্যেকটা পরিবারের সচেতন হওয়া প্রয়োজন, তা না হলে দেখবেন এক সময় আপনার শিশুটা মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে গেছে এবং সে মানসিক রোগী হয়ে যাবে। তাই আবার কিছু যুবক যুবতী রয়েছে যারা সারা রাত্রি ঘুম না পেরে ফেসবুকে সময় কাটাচ্ছে।

এতে দেখা যাচ্ছে সারারাত পার হয়ে যাচ্ছে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে এর পরে মানসিক টেনশন হচ্ছে। তাই এটির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই আপনি এর মাধ্যমে উপকার পাবেন। কেননা এই ফেসবুক চালিয়ে অনেকেই এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

আবার অনেকে শুধু সময় অপচয় করছে, তাহলে ভেবে দেখুন আপনি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আপনার উপকার হবে আবার ক্ষতি রয়েছে। সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কি করবেন, তাই বলা যায় প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে করতে হবে, তাহলে উপকার পাবো আর যদি অপব্যবহার করি তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

শেষ কথাঃ ৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার যা মানুষের উপকার করেছে

পরিশেষে বলা যায় যে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এই বিষয়গুলো সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে, তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই কোন প্রযুক্তি কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটা আপনাকে জেনে ব্যবহার করতে হবে এবং সময়ের মূল্যায়ন করতে হবে।

তাই ৩০ টি প্রযুক্তির নাম ও ব্যবহার সম্পর্কে আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আপনার উপকার হবে। পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪