তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও দোয়া সমূহ সম্পর্কে জানুন

অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পছন্দ করেন কিন্তু নিয়ম কানুন জানেন না। তাই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও দোয়া সমূহ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
তাহাজ্জুতের নামাজ আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন, তাই আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারেন। কেননা এই সময় আল্লাহতালা বান্দার দোয়া সবচেয়ে বেশি কবুল করে থাকেন। তাই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও দোয়া সমূহ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃতাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও দোয়া সমূহ সম্পর্কে জানুন

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও দোয়া সমূহ

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন। তাই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও দোয়া সমূহ সম্পর্কে অনেকে জানা প্রয়োজন। চলুন, কিভাবে এই নামাজ পড়বেন সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন ফরজ নামাজের পর যদি কোন নফল নামাজ কে শ্রেষ্ঠ বলা হয় সেক্ষেত্রে তাহাজ্জুতের নামাজ কি বলা হবে মুসলিম শরীফ

আল্লাহতালা কে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে রাত্রিতে এই নামাজ পড়ার নির্দেশ দিছিলেন দিয়েছিলেন সূরা মুজাম্মিলের আয়াত নাম্বার ১-২ আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেছেন

রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ইসলামের প্রথমদিকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ এর আগেই এ নামাজ আদায় করতেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর তেমন নামাজের আবশ্যকতা ছিল না বরং রাতের কিছু অংশ তিনি বাদ দিয়ে সারা রাতে জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন এবং এই নির্দেশনা তার ওপরে ছিল 

যার কারণে তারা যে সকল নবীদের উপর এই ধরনের হিসেবে জান্নাতে যাওয়া যেতে পারবেন তাদের মধ্যে এক ধরনের মানুষ হলেন তারাই যারা যাত্রা সাথে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েছিলেন কোরআনে বিভিন্ন সূরায় সম্পর্কে নামাজ পড়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে বলেছিলেন তোমাদের যুগেও যারা আলেম-ওলামাগণ আর সবাই যেন এই তাহাজ্বতের নামাজ পড়ে রাত কাটিয়ে দেয়

রাসূল সাঃ এই নামাজ দুই রাকাত করেই সাধারণত পড়তেন তবে তিনি কখনো চার রাকাত আট রাকাত আবার কখনো ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়েছেন তবে নামাজটা মূলত দুই রাকাত করে পড়তে হয় এভাবে দুই রাকাত করে নামাজ পড়তে পারেন এটা আসলে উত্তম যেকোন সূরা দিয়েই নামাজ পড়া যেতে পারে তবে এক্ষেত্রে সূরা বাকারা লম্বা করলে ভালো হয় কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তাহাজ্জুতের নামাজের 

সাধারণত অনেক লম্বা করত এটাই তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য উত্তম তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে নফল নামাজের নিয়ত করা লাগবে যেহেতু এটা একটি নফল ইবাদত আমি দুই রাকাত তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করার ইমামের পিছনে দাঁড়িয়ে আদায় করছে হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণিত যে ব্যক্তি রাকাত নামাজ পড়লো সে যেন তাহাজ্জুদের ফজিলত পাবে

যে কোন সূরা দিয়ে এই নামাজ পড়া যাবে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম প্রথমে তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে নিয়ত করতে হবে এরপরে সানা পড়বেন সুরা ফাতেহা পড়বেন এই সূরার সাথে আরেকটি সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সূরা মিলানোর মিলিয়ে পড়বেন কেননা রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এভাবে নামাজটা পড়তেন অতঃপর অন্যান্য রুকুর সেজদা করে নেবেন এবং দ্বিতীয় রাকাতে আদায় করার জনতা সাত বছর পরে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করবেন

তাহাজ্জুদের নামাজ রাতের শেষভাগে পড়লে ভালো এই নামাজ পড়ার আলাদা কোন নিয়ম কারণ নেই নাই শুধুমাত্র নিয়ত করে সুন্নত ও নফল নামাজ পড়তে পারবেন আপনার ইচ্ছা মতো যত রাকাত পড়তে পারেন কোন অসুবিধা নেই তবে দুই রাকাত করে পড়া লাগবে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪