বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিন

ব্রাজিলের সাংস্কৃতিক এবং ভৌগোলিক পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। এজন্য অনেকেই যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেন না। চলুন, ব্রাজিলের যাওয়ার জন্য কি পরিমাণ খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে অনেক লোক ব্রাজিলে যাচ্ছে কিন্তু ব্রাজিলের কাজের লোক খুবই কম নিয়ে থাকে। এজন্য অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসুচিপত্রঃ বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে জেনে নিন

বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে

ব্রাজিল একটি উন্নত রাষ্ট্র যেখানে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই যেতে চায়। তাই বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল যেতে কত টাকা লাগে? সম্পর্কে জানলে আপনার একটি ধারণা হবে এবং কত টাকা বেতন দিয়ে থাকে বিস্তারিত জানা খুবই প্রয়োজন। চলুন, এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলের যদি যেতে চান, সে ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে এ সম্পর্কে অনেকে জানতে চায় কিন্তু এ দেশে যাওয়ার জন্য খরচটা নির্ভর করে আপনার ভিসার উপর। তাছাড়া আরো অনেক বিষয় রয়েছে সব মিলিয়ে নির্ভর করে কত টাকা খরচ হতে পারে।

আপনি এই দেশে কি কাজের জন্য ভিসা করবেন এবং কোন এলাকায় কাজ করতে চাচ্ছেন সকল কিছু মিলেই নির্ভর করবে। তবে এ বিষয়টি আপনি এজেন্সির থেকেও জানতে পারবেন এবং এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন নাকি সরকারিভাবে যাবেন সেটাও নির্ভর করবে।

এই সকল বিষয় আপনি বিস্তারিত জানার জন্য সরাসরি ঢাকার মধ্যে অবস্থিত ব্রাজিল দূতাবাসে যেতে পারেন। সেখানে গিয়ে কোন ভিসার খরচ কত টাকা হবে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত টাকা দালালকে দেওয়া লাগবে না এবং বেশি খরচ হবে না।

তাছাড়া আপনি যদি ব্রাজিলে বৈধভাবে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা পাসপোর্ট কাগজপত্র লাগবে। তাছাড়া ভিসা ছাড়া তো আপনি ব্রাজিলের প্রবেশ করতে পারবেন না। এজন্য কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে, এই ভিসা গুলো নির্ভর করবে আপনার কত টাকা খরচ হবে। অনেকেই ভিজিট ভিসা কাজের ভিসা এবং স্টুডেন্ট ইত্যাদি ভিসা যেতে চায়, সে ক্ষেত্রে ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিসা খরচ হয়ে থাকে।

তবে বাংলাদেশের লোকজনের জন্য ব্রাজিলের ভিসা খরচ হতে পারে ৯৬০০ টাকা। তবে কিছু কমবেশি হতে পারে, এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে এবং এই ভিসাটা আপনি ২০ দিনের মত সময় লাগতে পারে। বর্তমানে ব্রাজিলের ১ রিয়াল সমান বাংলাদেশের ২১ টাকার মত। তাই ১০০ রিয়াল বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে হবে ২১৪০ টাকা। সে হিসাবে আপনার উপরোক্ত এই টাকা কত টাকা হতে পারে সেটা হিসাব করে নিবেন।
ব্রাজিলে বাংলাদেশি লোকজন প্রচুর পরিমাণে যাচ্ছে এবং এদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। প্রায় মাসেই ব্রাজিলে ২০০ থেকে ৩০০ এর মত লোক যাচ্ছে ও আবেদন করছে। তার মধ্যে ব্রাজিলের দূতাবাস ১ মাসের জন্য ১০০ টি ভিসা ভিসা দিয়ে থাকে, এর বেশি তারা দিতে পারে না। কেননা জনবল সংকট রয়েছে।

বাংলাদেশের লোকজনের ব্রাজিলের ভিসা আরো বৃদ্ধি করার জন্য দূতাবাস খোলার চিন্তাভাবনা করেছেন। এই সেন্টার যদি খোলা হয় সে ক্ষেত্রে ভিসার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এই বিষয়ে ব্রাজিল দূতাবাস আশা করেছে, তবে এই ভিসা সেন্টার এখন পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে করা হয় নাই। এই ভিসা সেন্টারটি ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খোলার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ব্রাজিলে কাজের ভিসা অনেকেই যাচ্ছে তবে এদেশের লোকজন সাধারণত কম নিয়ে থাকে। যদি কোন জরুরী কাজের প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে যে কোন দেশ থেকেই লোক নিয়োগের মাধ্যমে তারা জনবল নিয়ে থাকে। তবে আপনি যদি যেতে চান সেক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্রাজিলের ভিসার আবেদন করা লাগবে।

প্রথমে ব্রাজিলের দূতাবাসে আপনি যাবেন এরপর আবেদন পত্র সাথে যত কাগজপত্র দেওয়ার দরকার দিবেন। এরপর সবকিছু যাচাই-বাছাই করে নিবে, তারা ভেরিফিকেশন করার পরে তারপরে ভিসা দিয়ে দিবে। বাংলাদেশের যারা কূটনীতিবিদ রয়েছে তারা ভিসা ছাড়াই ব্রাজিলে যেতে পারবে। এই অনুমতি আছে এ নিয়ে এই বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত তিনি বলেছেন বাংলাদেশের ব্রাজিলের ভিসা খুবই সহজভাবে করার জন্য দ্রুত কাজ চলছে। ব্রাজিলের ভ্রমণ এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের লোকজন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাংলাদেশীরা বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অনেকে আবার পরিবার সহ নিয়ে যাচ্ছে যে কারণে ভিসার চাহিদা আরো বেড়ে যাচ্ছে।

সেজন্য ঢাকা একটি ভিসা সেন্টার খোলার জন্য প্রয়োজনীয়তা মনে করেছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো ভিসা সেন্টারটি খোলা যাবে। এরপর আবেদনের মাধ্যমে আপনাকে এই দেশে যেতে হবে।

ভিসা আবেদনের ফি এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের ভিসা করবেন, কত দিন মেয়াদ থাকবে, আবেদনের সময় স্থায়ী না অস্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবেদন করবেন। এ বিষয়গুলো আপনার তথ্য দিতে হবে, এছাড়াও অধিকাংশ পর্যটকরা অনুমোদন পায় এবং ভিসা পেতে পারে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সার্ভিস প্রযোজ্য হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪