চীনে যেতে কত টাকা লাগে ও বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ফি কম

আপনি যদি চীনে যেতে চান সে ক্ষেত্রে চীনে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জেনে গেলে আপনার সুবিধা হবে। তাই কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরী। চলুন, চীনে যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য চীনে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। তাই আপনার যে কাজের উপর দক্ষতা রয়েছে সেই কাজের উপর প্রস্তুতি নিবেন। চলুন, চীনে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃচীনে যেতে কত টাকা লাগে ও বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা ফি কম

চীনে যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে চীনে অনেক লোক যেতে চায়, তাই বাংলাদেশ থেকে চীনে যেতে কত টাকা লাগে? এ সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানে না। চলুন, বাংলাদেশের লোকেদের জন্য কি সুযোগ সুবিধা এবং কত টাকা লাগতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

বর্তমানে চীন রাষ্ট্র বাংলাদেশীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে এবং এই দেশে বহু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এজন্য বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সহজ ভাবে চীনে যেতে পারবেন। তাছাড়া সেখানে কাজ করে তারা অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন করতে পারবে। তাছাড়া চীন অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হওয়ার জন্য দক্ষ লোকজন নিয়োগ দিয়ে থাকে।

ভিসা খরচঃ আপনি যদি চীনে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা খরচ কত হতে পারে সে সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। যদি দুই বছরের মাল্টিপল ভিসা নেওয়ার ইচ্ছা করেন তাহলে খরচ হতে পারে ৩২ হাজার টাকার মত। এছাড়াও আপনার ভিসা প্রসেসিং এর সময় আরো কিছু টাকা লাগতে পারে। সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। এছাড়াও এর সাথে এম্বাসি ফ্রি হিসাবে এবং ভিসা প্রসেসিং হিসেবে আরো ১০ হাজার টাকা খরচ করা লাগতে পারে।

চীনে নতুন একটা নিয়ম তৈরি হয়েছে তাহলো বাংলাদেশীদের জন্য কাজের ভিসা প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরির ভিসা চালু করছে। এতে দক্ষ শ্রমিকদের জন্য সুবিধা হয়েছে এবং তাদের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন ভিসা আবেদনকারীদের জন্য যোগ্যতার ক্ষেত্রেও অনেকটাই কমানো হয়েছে। এজন্য দক্ষ লোকজন বা শ্রমিকদেরকে নেওয়ার তারা চিন্তা ভাবনা করেছেন, এক্ষেত্রে আপনি যদি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

চীনের মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে নতুন নিয়ম অনুযায়ী তারা চাকরির প্রস্তাব দেবে এবং তাদের উচিত হবে যে কাজের জন্য তারা লোক নিতে চাচ্ছে, সেই কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এজন্য অবশ্যই এদের সাথে কাজ করার জন্য একটি স্থানীয় কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে হবে।

এর মধ্যে বিভিন্ন খাতে যেমন প্রযুক্তি নির্মাণ স্বাস্থ্য সেবা বাংলাদেশি কর্মীদের সবচাইতে চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের নাগরিকরা এদেশে যাওয়ার জন্য অনেকটাই আগ্রহী রয়েছে। তবে অবশ্যই আপনার দক্ষতা অর্জন করা লাগবে, এছাড়া আবেদন করার অনুমতি পাবেন না।

বর্তমানে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মীদেরকে নেওয়া হচ্ছে, এজন্য অবশ্যই আপনার দক্ষতা অর্জন করা লাগবে। এছাড়া এই সুযোগটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে কাজের ভিসা প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ করেছে, পূর্বে দেখা যেত ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েক মাস লেগে যেত। এখন সেটি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে সহজ পদ্ধতি করেছে, যারা এদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক হয়েছেন তারা এই সুযোগটা নিতে পারেন। এতে আপনার অতি তাড়াতাড়ি কর্মসংস্থান হয়ে যাবে।

চীন সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে শুধুমাত্র তাদের অর্থনীতি শক্তিশালী করার জন্য। এছাড়া বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন একটি সুযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং চীনে কাজের সম্ভাবনা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ চাইলে আপনিও এই সুযোগটা ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশের অনেক তরুণ প্রজন্ম রয়েছে যারা চীনে কাজের সুযোগ খুজে থাকে। এজন্য তারা এই সুযোগটি ব্যবহার করতে পারেন। তারা বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি এবং সেবা কাজগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কর্মী নিয়ে থাকে। তাই আন্তর্জাতিকভাবে আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করে থাকেন, তাহলে চীনে কর্মী হিসেবে আবেদন করতে পারেন এবং ওই দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি চীনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যেতে চান, সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বোয়েসেল এর মাধ্যমে যাওয়া লাগবে। তাছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে কোম্পানিগুলো এজেন্সির মাধ্যমে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, তারা কখনো সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবেনা। কিছু রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে।

এই ভিসায় কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে যেমন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এতে আপনার অভিজ্ঞতা বা যদি ডিগ্রি থাকে তাহলে যেতে পারবেন। আবার যদি আপনি গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার যদি সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে চান্স পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাবে।

যদি চীনে কাজের জন্য যেতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বাস্ত এজেন্সির সাথে কথা বলে নিতে পারেন। এজেন্সি যদি আপনার সাথে যোগাযোগ করে, সেক্ষেত্রে আপনি অনুমতি পেতে পারেন অথবা শোরুমগুলোতে কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে অনেকেই উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য চীনে যেতে চায়, কেননা চীনে অনেক ভালো পড়াশোনার করার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য রাষ্ট্রের চাইতে এখানে খুবই কম খরচ হয়ে থাকে এবং অতি সহজেই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়। তাছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের ব্যবস্থা রয়েছে। অধিকাংশই শিক্ষার্থীরা স্নাতক প্রোগ্রামের ভর্তি হওয়ার জন্য চীনে যায়, সেখানে দুটি ভাষায় পড়াশোনা করা যাবে চীন ভাষা ও ইংরেজি ভাষা।

চীনে পড়াশোনা করতে হলে যে চীনা ভাষায় শিখতে হবে তা কিন্তু নয় তবে যদি আপনি সেখানে জীবন যাপন ভালোভাবে করতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এদের ভাষা শেখার প্রয়োজন। তবে ইংরেজিতেও আপনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করতে পারেন। এর পাশাপাশি আপনি ১২ টি চীনা ভাষা কোর্সও করে নিতে পারেন।
এগুলো থেকেই আপনি ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ চীনের ভাষার কোর্স করতে চায়না। যার কারণে তারা অনেকটাই ভয় পেয়ে যায় কিন্তু এখানে আসার পরে যদি ভাষা শেখাটা জরুরি মনে করেন তাহলে শিখতে পারেন খুব দ্রুত।

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন ধরনের ভাষা শেখার জন্য ফ্রি কোর্স করায়। এই অফারটি আপনি নিতে পারেন এবং এখানেই আপনি ভাষাটা শিখতে পারবেন। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো চায়না ভাষায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যারা চায়না ভাষায় জানতে পারেন তারা চাকরি বাজারে আলাদা কদর পাবেন। তাই চায়না যাওয়ার আগে ভাষা শিখে যেতে হবে।

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বৃত্তি ছাড়া চীনে পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হতে পারে। তবে প্রকৌশলী ব্যবসায়ী শিক্ষা সহ অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নেয়া যাবে। তাই আপনি প্রকৌশল ব্যবসা শিক্ষা সহ লেখাপড়ার জন্য খরচ কিছুটা কম হতে পারে।

কেননা এই দেশে এক একটা স্কুল এক এক রকমের টিউশন ফি নিয়ে থাকে। এজন্য স্নাতক ক্ষেত্রে পড়ার জন্য ১৫০০০ ইউয়ান এবং ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। এছাড়াও মিডিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ হাজার ইউয়ান হলেই হবে।

এছাড়াও চীনে যারা পড়াশোনা করতে যান তাদের কাজের সুযোগ আছে, যদি আগে এই সুযোগটা ছিল না। দেড় বছর পর আবার সরকার অনুমতি দিচ্ছে তবে প্রক্রিয়াটি এজন্য আপনি কাজটা দুই বছরের মত করতে পারবেন। তবে এই ধরনের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রোটোকল রয়েছে, এজন্য আপনাকে অবশ্যই এক বছর পড়াশোনা করা লাগবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এছাড়াও আপনার সুপারভাইজারের অনুমতি নিয়ে বের হয়ে যেতে হবে।

তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা রয়েছে যা কিছু কিছু কাজের সুযোগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কিছু কিছু কাজের সুযোগ আছে কিন্তু সত্যি কথা বলতে এখানে পড়ালেখার চাপ এত বেশি যে আপনি কাজ করার সময় পাবেন না। বিশেষ করে স্নাতক পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে।

বর্তমানে চীনের লেখাপড়া অনেক উন্নতমানের, শিক্ষার্থীরা যখন চীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়া অথবা গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করেছে। চীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবে তারা অত্যন্ত মেধাবী হবে। এছাড়াও অনেকেই যখন ছাত্র ছিল তখন তারা পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করছেন। আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করে থাকেন, তাহলে দেখবেন অনেক সম্মান পাবেন এবং খুবই কম সময়ে এদেশে কাজ পেয়ে যাবেন।

ভ্রমণ ভিসাঃ ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করে থাকেন তাই বাংলাদেশি লোকদের জন্য খুবই সুখবর রয়েছে। কেননা এ দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত চীনে যাওয়ার ক্ষেত্রে এ ভিসার আবেদন ফি কমানো যেতে পারে।

যদি আপনি চীনে ভ্রমণ ভিসা যেতে চান সেক্ষেত্রে প্রবেশের জন্য দুইটি ভিসা করা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে খরচ হবে যেমন ২৪০০ টাকা, এছাড়াও চতুর্থ কর্ম দিবসে ভিসা পেতে পারেন। আবেদনের পর দ্বিতীয় কর্মদিবস খরচ পড়বে ৩১০০ টাকা। এছাড়াও তৃতীয় কর্ম দিবসে আপনার খরচ পূর্বে ৫১০০ টাকা।

চীনে আপনি দুইবার প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন যদি আপনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট করার হয়ে থাকে। এজন্য পাসপোর্ট করার জন্য আপনার আবেদন ফি৬৩০০ টাকা থেকে ৭৬০০ টাকা।

একের অধিক বার চীনে প্রবেশ করতে পারবেন তবে ছয় মাসের বেশি না রাখাই ভালো সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে যদি আপনার ভিসার মেয়াদ পার হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সমস্যা হবে, এক্ষেত্রে আপনার আরো খরচ হতে পারে ৪৮০০ টাকা।

একের অধিকবার আপনি যদি প্রবেশ করতে চান সে ক্ষেত্রে ১২ থেকে ২৪ মাস এর মেয়াদ অনুযায়ী চীনা ভিসার ব্যবস্থা করে নিবেন। এখানে বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেয়ার জন্য ১২ থেকে ২৪ মাস মেয়াদী চীনা ভিসার এবং ৭২০০ টাকা খরচ হবে।

চীনে যদি আপনি যেতে চান সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাদের করা আছে, তাদের একটু কম খরচ হবে আর যারা বেসরকারিভাবে যাবেন তাদের একটু খরচ বেশি হবে। এক্ষেত্রে যাদের পাসপোর্ট রয়েছে তাদের ভিসা আবেদন ফি অধিকাংশ সময় কমানো যেতে পারে। আপনি যদি ১৫৯০০ ইউয়ান উপরে ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার ১৯৯০০ ইউয়ান এর মত বেতন আসবে।

বাংলাদেশীদের জন্য বিভিন্ন শহর যাওয়ার ক্ষেত্রে আকাশপথে দুই ঘন্টা থেকে আড়াই ঘণ্টা। যদি আপনি ঘুরতে যেতে চান সেক্ষেত্রে ভাড়া ৪০০০ থেকে ৭০০০ টাকার মত লাগতে পারে কিন্তু দূরত্ব বেশি যদি হয় সেই ক্ষেত্রে যাওয়ার জন্য ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা লাগতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪