ওরস্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে ও কতটা নিরাপদ জেনে নিন

আপনার যদি ডায়রিয়া হয় সে ক্ষেত্রে স্যালাইন খাবেন, তাছাড়া ওরস্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে? এটা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়, চলুন কোন সময়ে ওর স্যালাইন খেলে প্রেসার বাড়বে না সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ছবি
ডায়রিয়া ছাড়া খাওয়ার স্যালাইন খেলে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেজন্য খাবার স্যালাইন খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাই ওরস্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে? সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পোস্টসূচিপত্রঃওরস্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে ও কতটা নিরাপদ জেনে নিন

ওরস্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে

অনেকে জানতে চায় যে ওরস্যালাইন খেলে কি প্রেসার বাড়ে? আসলে বিষয়টা এরকম নয়। ওরস্যালাইন খেলে প্রেসার বাড়বে কি কমবে এটা মূলত নির্ভর করে আপনার শরীরের অবস্থার উপরে। চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ওর স্যালাইন এর মধ্যে লবণ সোডিয়াম ক্লোরাইড গ্লুকোজ ট্রাই সোডিয়াম সাইট্রেট পটাশিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি রয়েছে সাধারণত ওর স্যালাইন আধা লিটার পানির মধ্যে মিশিয়ে খাওয়া লাগবে এর কম বেশি করা যাবে না

স্যালাইন মূলত খাবেন তখন এই যখন আপনার ডায়রিয়া বা প্রচুর পরিমাণে পানি সল্পতা দেখা দিয়েছে সে ক্ষেত্রে কেননা একজন ডায়রিয়ার রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানিও লবণ চলে যায় আর এই পানি ও লবণ এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য ওর স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে এতে আপনার পানি সোডিয়াম পটাশিয়াম গ্লুকোজ এগুলো শরীর পূরণ করবে

তবে অনেকেই বলে থাকে সোডিয়াম বা লবণ তার কারণে উচ্চ রক্তচাপ রোগীরা খেতে পারবে না এতে তাদের উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে কিনা এ ধরনের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে এবং চিন্তিত হয় যে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা সাধারণত লবণ কম খেতে হয় তাই তারা কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক ওর স্যালাইন খাওয়ার কারণে প্রেসার বাড়ে কিনা

স্যালাইন খাওয়ার কারণে আপনার লবণের ঘাটতি পূরণ করবে এদের শরীরে কাজকর্ম করার জন্য উৎসাহিত করবে এবং লবণের ভারসাম্যতা রক্ষা করবে ডায়রিয়া যদি আক্রান্ত হয় সে ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায় খনিজ পদার্থ বের হয়ে যায় এজন্য লবণেরা আধিক্য যদি বেশি খেয়ে ফেলেছে সে ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিবে তবে ডায়রিয়া হওয়ার কারণে অবশ্যই ওর স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে কেননা এটা আপনার পানীয় খনিজ পদার্থের ঘাটতি পূরণ করবেন

যদি আপনার ডায়রিয়া হয় সেক্ষেত্রে যদি স্যালাইন না খান তাহলে আপনার পানি ও লবণের ঘাটতি দেখা দেবে এর কারণে আপনি পানির শূন্যতা হয়ে যাবেন এবং কিডনিতে অ্যাটাক করবে কিডনি কাঁদিবে কাজ করবে না এজন্য সকল উত্তর ছেলের রোগী আছেন তারা অধিকাংশই এমনিতেই কিডনিতে সমস্যা হয়ে থাকে এজন্য যদি তাদের ডায়রিয়া হয় সে ক্ষেত্রে স্যালাইন খাওয়া হয় তবে কোন অসুবিধা হবে না

এজন্য আপনার ডায়রিয়া যদি হয় সেক্ষেত্রে পানির স্বল্পতা দূর করার জন্য খাবার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে এতে উচ্চ রক্তচাপে রোগীরাও খেতে পারবে এতে কোন সমস্যা হবে না তারপরও ডায়াবেটিস বা হাই প্রেসার মেপে নিতে হবে

কেউ কেউ মনে করে যে উচ্চ রক্তচাপে রোগীরা সাধারণত ওর স্যালাইন খেতে পারবে না কিন্তু এ ধারণাটি আসলে ঠিক হয় কেননা বৈজ্ঞানিকদের মতে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ চলে যায় যার কারণে ওর স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে এবং খনিজ পদার্থ বৃদ্ধি পায়

এজন্য আপনি যতবার পাতলা পায়খানা করতে যাবেন সেখান থেকে বাথরুম থেকে আসার পরে আবার পানি ওর স্যালাইনের পানি খাবেন এভাবে আপনি যদি খেতে থাকেন তাহলে আপনার পানির সফলতা দূর হবে আর অতি দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হবে সেখানে চিকিৎসকরা সেই সুযোগ দিবে

এজন্য যদি আপনি দেখেন আপনার ডায়রিয়া হওয়ার কারণে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে এটা আপনার প্রেশার আরো কমে যেতে পারে এটা আপনার মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের আবার লো প্রেসারের কারণে মারা যেতে পারে এক্ষেত্রে ডায়রিয়া হলে নিশ্চিতভাবে আপনি ওর স্যালাইন খাওয়াতে পারেন

ওর স্যালাইন এর মধ্যে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকার কারণে রক্তের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতায় সৃষ্টি হয় যার কারণে শ্বাসকষ্ট দেওয়ার সময় অস্বাভাবিক নয় হতে পারে আপনার শরীরে যদি লবণের পরিমাণ বেশি বেড়ে যেতে পারে বেড়ে যাওয়া থাকে সে ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এক্ষেত্রে অবশ্যই কম খাওয়ার ব্যবস্থা করবেন অল্প কিছু কারণেই আমরা অনেকেই ওর স্যালাইন খায় থাকি কিন্তু এটা যে কত বড় ক্ষতিকার

আমরা অনেকেই শরীর দুর্বল বা অতিরিক্ত খাবার কারণে সাধারণত ওর স্যালাইন খায় না এটা আপনার অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং তাই যেকোনো কারণেই আপনার স্যালাইন খাবেন না চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত ভাবে পানি খাওয়ার জন্য আর ওর স্যালাইন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানিয়ে দেবো ধন্য

লবণের মধ্যে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরে শরীর সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং রক্ত কোষের বাইরে থাকা আয়রন নেওয়া যেতে পারে এজন্য অবশ্যই চেষ্টা করবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪