কোন খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক কমে ও যেসব খাবারে বাড়ে
কোন খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক কমে
বর্তমানে খাবার দেওয়া খাবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকার কারণে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়েই চলছে এবং আমাদের জীবনযাত্রা ক্ষেত্রে যে সকল খাবার শরীরে ক্ষতি করবে সেই খাওয়ার গুলো খাওয়ার প্রতি আমরা বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকি যার কারণে আমাদের পরিপাকতন্ত্র এর সমস্যা হয়ে থাকে এর কারণে খাদ্য হজম হয় না অ্যাসিডিটির সমস্যা বৃদ্ধি পায় এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা হয়
গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেকের পেট ফুলে থাকে ফুলে যায় পেট ফাঁপা যায় পেটে যন্ত্রণা করে গ্যাস্ট্রিক জমা হয়ে যায় এটা সাধারণত বাহিরের বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার মদ্যপান এছাড়া ধূমপান ইত্যাদির কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে থেকেই আপনার এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকেই আপনার সাধারণত বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে
তা আপনার পেটের সমস্যা যদি দূর করতে পারেন তাহলে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং শরীর ভালো থাকবে তাই পেটকে শান্তি রাখার জন্য আপনার বাইরের খাবার বন্ধ করতে হবে এবং তৈলাক্ত খাবার গুলো বন্ধ করতে হবে এছাড়া আপনার পেটের সমস্যা যদি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যদি বেড়েই চলে সেক্ষেত্রে একজন গ্যাস্টর লিভারের ডাক্তার দেখাতে হবে এবং জীবন যাপন করলে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন চলুন ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক
আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় এবং প্যাড ফুলে যায় পেট ফুলে যায় তাহলে প্রথমে হালকা হাতের উপরে তেল নিবেন এরপরে পেটে ম্যাসাজ করবেন এটা গ্যাস তলপেটের দিকে চলে আসবে এবং পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে যাবে তার জন্য আপনি আপনার হাত দিয়ে বুকের খাঁচার যে হাড় গুলো আছে সেখান থেকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে আসবেন এবং গোলাকার ভাবে ম্যাসাজ করবেন যার কারণে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে
আরো একটি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন সেটা হল আপনি যখন গোসল করবেন সে ক্ষেত্রে গরম পানিতে গোসল করার চেষ্টা করবেন এটা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই উপক্রম হবে উপশম হবে কেননা গরম পানি পেটের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এছাড়াও গ্যাস্টিকের সমস্যা সমাধান করবে এবং গ্যাস্ট্রিক জমা হতে দেবে না তাই আপনি যখন গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন তখন আপনার অন্ত্রের উপরে চাপ লাগবে এটা আপনার অন্ত্র ভালো থাকবে
আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে এতে আপনার পেটে গ্যাস্টিকের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে আর এই গ্যাস্টিক দূর করবে ফাইবার যুক্ত খাবার এতে অনেকটাই আপনার গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে খাদ্য হবে না ঠিকমতো হবে খাদ্য হজম ঠিকমতো হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে
এজন্য নারীরা সাধারণত প্রতিদিন ২৫ গ্রাম এবং পুরুষরা সাধারণত ৪০ গ্রামের মতো ফাইবারযুক্ত খাবার খাবেন এতে বিশেষ করে শাকসবজি সবুজ শাক-সবজি খেলে বেশি উপকার পাবেন কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে
কিশমিশঃ আপনারা যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা দেখবেন খাদ্য হজম হচ্ছে না ঠিকমতো এতে আপনার পরবর্তীতে আরো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে যার কারণে আপনি নিয়মিত ভাবে কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন দেখবেন আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ঠিক হয়ে যাবে কারণ কিসমিসের পানির মধ্যে যে উপাদান থাকে তা আপনার পেটের এসিড কমিয়ে দিবে এবং পায়খানা নরম করবে পেটের ব্যথা কমে যাবে কেননা এর মধ্যে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকার কারণে অন্ত্রের যেকোনো ধরনের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে
কলাঃ আমরা ছোট বড় সবাই কলা খেতে পছন্দ করি এবং প্রায়ই দেখা যায় কলা খেতে থাকি খেয়ে থাকি বিশেষ করে সকালবেলা নাস্তার ক্ষেত্রে আমরা কলা বিস্কুট দেই নাস্তা করে থাকি এই কলা যদি আপনি প্রতিদিন আর নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে ভালো ফলাফল পাবেন এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা আপনার প্রাকৃতিকগতভাবে প্রাকৃতিকগতভাবে এন্টাসিড এর কাজ করবে এজন্য চেষ্টা করবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য কলা খাওয়ার জন্য এটা আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে
পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ অনেকেই পানি খেতে বেশি একটা পছন্দ করেনা যার কারণে তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে কেননা পানি না খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক জমে থাকে এজন্য খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিট পর বেশি করে পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন এটা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে কখনোই খাবারের সাথে সাথে বেশি করে পানি খাবেন না এতে আরো খাদ্য হজমের সমস্যা দেখা দিবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে পানি খাওয়ার পাশাপাশি আপনি গ্রিন টি খেতে পারেন এতেও দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা পেটের যে কোন ধরনের সমস্যা দূর হবে
শারীরিক ব্যায়ামঃ আমরা অনেকেই খাদ্য খেতে পছন্দ করি কিন্তু শারীরিক ব্যায়াম করতে চাই না প্রতিদিন কমপক্ষে করে হলেও সকাল অথবা বিকালে 30 মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করতে হবে এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে যাতে করে আপনার পেটের গ্যাসের সমস্যা দূর হয় আপনি যদি হাঁটাহাঁটি না করেন তাহলে খাদ্য আপনার অন্তরে ঠিকমতো কাজ করবে না এতে গ্যাস্টিকের সমস্যা হবে আর যদি আপনি ব্যায়াম করতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে বা পেটে চাপ লাগার কারণে গ্যাস্ট্রিক বের হয়ে যাবে এবং অনেকটাই নিজেকে সুস্থ মনে হবে
ডাবের পানি খাবেনঃ এই পানি অত্যন্ত উপকারী বিশেষ করে গ্যাস্টিকের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা এই পানি খেতে পারেন কেননের মাঝে প্রচুর পরিমাণে আংটি অক্সিডেন্ট থাকে সেইসাথে মিনারেলসও থাকে যা আপনার পানি চাহিদা পূরণ করবে এবং খাদ্য হজম করতে সাহায্য করবে যার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না
দই খাবেনঃ দই সাধারণত খাদ্য হজম করার ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে থাকে কেননা এটা ভালো ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করতে পারে আর ভালো ব্যাকটেরিয়া খাদ্য হজম করতে অন্তরে কাজ করে থাকে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এজন্য দুপুরবেলা আপনি যে কোন খাবার খাওয়ার পর একটু হালকা টক দই খেতে পারেন এটি দেখবেন আপনার দারুণ কাজ করবে গ্যাস্টিকের ক্ষেত্রে এর মধ্যে কখনোই চিনি দিবেন না এর পরিবর্তে অল্প পরিমাণ লবণ দিতে পারেন
শসা খেতে পারেনঃ শসা আমরা জানি পেটকে ঠান্ডা রাখবে এবং এর ভিতরে এন্টেন ক্লেমেটারি থাকে এন্ড ইনফ্লেমেটরি থাকার কারণে এটা আমাদের পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করবে এবং খাদ্য হজমের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করবে এছাড়াও আপনার পেটে গ্যাস্টিক জমা হতে দেবেনা
পেঁপে খেতে পারেনঃ এর মধ্যে এক ধরনের এনজাইম নামের উপাদান থাকে যা আপনার হজমের ক্ষেত্রে দারুন কাজ করে এই জন্য আপনি নিয়মিতভাবে খেতে পারেন পেঁপে খেতে পারেন এটা আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে ভালো কাজ করবে
ভেষজ চাঃ সাধারণত প্রাকৃতিকগত উপায়ে যে চা উৎপাদন করা হয় থাকে সেটা ভেজোড় চা বলা হয়ে থাকে যা আপনার হজমের ক্ষেত্রে ধারণ কাজ করবে এবং পেটের ব্যথা দূর করতে ভালো কাজ করে থাকে তাই আপনি এই যা প্রতিনিয়ত খেতে পারেন
রসুন খেতে পারেনঃ রসুনকে সাধারণত প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক বলা হয়ে থাকে যা আপনার খালি পেটে যদি এক কোয়া রসুন খেতে পারেন দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা খুবই দূর হয়ে যাবে এছাড়াও দুপুর বেলা ভাতের সাথেও এক কোয়া রসুন মিশ করে খেতে পারেন এটা আপনার সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার যদি খান তাহলে দেখবেন আপনার এই ধরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে পরিপাকতন্ত্রের যে কোন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে
জিরাঃ এটা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আমরা রান্না করে মসলা হিসাবে ব্যবহার করে থাকি বিভিন্ন ধরনের রান্না করার জন্য এই জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে কিন্তু এটা যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে এটা হয়তো অনেকেই জানেন না কিন্তু এটা হজমের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে পেটের এসিডিটির সমস্যা দূর করার জন্য দারুন কাজ করে তাই মসলাদার খাবারের খাওয়ার পরে আপনি জিরা পানি খেয়ে দেখতে পারেন
আদা পানিঃ আদা কে বলা হয় সকল রোগের মহা ঔষধ যা প্রাকৃতিক উপায়ে ধারণ কাজ করবে এটা মূলত গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে এত কার্যকারিতা ভূমিকা পালন করে যা আপনি একবার খেয়ে দেখতে পারেন কেননা এই আদা খাবার খাওয়ার পরে যদি আপনি এক টুকরো এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন দেখবেন আপনার খাদ্য তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যাবে
অথবা খাওয়ার এক ঘন্টা আগে যদি আপনি আদা গুলো কুচি কুচি করে কুসুম গরম পানি মিশিয়ে হালকা একটু লবণ দিয়ে যদি খেতে পারেন দেখবেন গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে কেননা এর মাঝে আন্টি এক্সিডেন্ট অন্ত্রিমেটরি এন্ট্রি ইনফ্লেমেটরি থাকার কারণে যা আপনার পেটের ফুলে যাওয়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বদহজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে
এলাচ খাওয়া যেতে পারেঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান আছে যা আপনার আপনার আমরা হয়তো মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এটা যদি আপনি মুখের ভিতর নিয়ে চুষতে পারেন বা চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার বুকের জ্বালাপোড়া বমি হওয়ার সমস্যা গ্যাস্টিকের সমস্যা এছাড়া মুখের দুর্গন্ধের ক্ষেত্রেও দারুন কাজ করবে
তুলসী পাতাঃ যুগ যুগ ধরে এই তুলসী পাতা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিশেষ করে ঠান্ডা লাগলে আমরা এই তুলসী পাতার রস খেয়ে থাকি কিন্তু এটা যে পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে সেটা হয়তো অনেকেই অজানা রয়েছে তাই গবেষণায় দেখা গেছে গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করার জন্য ইঁদুরের উপর এটা প্রয়োগ করা হয় এতে ইঁদুরের গ্যাস্ট্রিকের এর যে প্রদান হয় সেটা দূর করতে দারুন কাজ করেছে তাই মানুষও যদি এই তুলসী পাতার রস নিয়মিতভাবে খেতে পারেন তাহলে ওষুধ ছাড়াই আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা সহজ হবে
মৌরিঃ এই উপাদানটি সাধারণত মসলা জাতীয় একটি খাবার যা আপনার রান্নাঘরে পাওয়া যায় এটা আপনি যদি খেতে পারেন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে পাকস্থলী বা পেটের অন্তরের বেশি গুলোতে ভালো কাজ করবে এটা সাধারণত এসিড রিফ্লেক্স এর ক্ষেত্রে ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কষ্ট কাঠির মধ্যে দারুন কাজ করে থাকে এজন্য আপনি এটা পানির মাঝে ভিজিয়ে রেখে খাবার খাওয়ার পরে এই পানিটুকু খেতে পারেন এছাড়াও উষ্ণ পানির মাঝেও মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে চায়ের সাথেও আপনি খেতে পারবেন
মধুঃ মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের বিভিন্ন কাজে উপকার করে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করে কেননা এটা যদি আপনি উষ্ণ পানির মাঝে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে এজন্য সকালবেলা আপনি হালকা কুসুম গরম পানির মধ্যে অল্প একটু মধু নিয়ে খালি পেটে যদি খেতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে
ক্যামোমিল টিঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং বদ হজমের ক্ষেত্রে এই উপাদানটি দারুন কাজ করে থাকে এটা একটি এক ধরনের চা যা আপনি নিয়মিত যদি খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ লাগবে না এটা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার জন্য এবং আলসারের সমস্যা ও দূর করতে দারুন কাজ করে থাকে তাই প্রতিদিন এই উপাদানটি আপনি তা হিসেবে খেতে পারেন এটা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে
পুদিনা পাতাঃ এই উপাদানটি আমাদের পেটের ভিতর ব্যথা ও পেট থাপা দেওয়া এই সমস্যা দূর করতে ভালো কাজ করে থাকে এছাড়াও পেটের ভিতরে গ্যাসটি জমতে দেবে না এছাড়াও আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর করতেও সাহায্য করে কেননা এর মাঝে উপাদান থাকে এন্ট্রি ইনক্লেমেটরি মেটরি থাকার কারণে এছাড়াও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যৌগ থাকার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধান পাবেন
যে খাবারগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিক বাড়েঃ এতক্ষণ আমরা জেনেছি গ্যাস্ট্রিক কমানোর জন্য যে খাবারগুলো খাবেন কিন্তু যে খাবারগুলো খাওয়ার কারণে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে সেই খাবারগুলো সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যায়
পপকর্নঃ এ জাতীয় খাবার গুলো অনেকেই পছন্দ করে থাকে এবং বিশেষ করে শিশুরা খেয়ে থাকে এটা খুবই একটি মুখরোচক এবং জনপ্রিয় খাবার কিন্তু এর মাঝে এত পরিমাণ ফাইবার থাকে যা আপনার পেটের ভিতরে গিয়ে হজমের ক্ষেত্রে গন্ডগোল দেখা যায় এর মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ ভাইবার থাকার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরও বেশি হতে পারে এবং থাবা দিতে পারে হালকা পরিমাণ যদি এই খাবার খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রেই দেখা যায় কেননা এর মাঝে এক ধরনের বায়ু দিয়ে তৈরি করা হয় তাকে যা আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় আরো বৃদ্ধি করতে পারে তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য এ ধরনের খাবার বাদ দিতে হবে
কাঁচা সবজিঃ আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই কাঁচা সবজি কখনই খাবেন না এটা আপনার সালফার বা এর সমস্যা থাকার কারণে আপনার হজমের সমস্যা হতে পারে এছাড়াও কাঁচা সবজি খাওয়ার কারণে দেখা যায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে আমরা কাঁচা সবজি সালাত হিসেবে খেয়ে থাকি যা আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তাই সব ধরনের কাঁচা সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা লাগবে
চুইংগামঃ এটা আসলে কোন খাবারের মাঝে পড়ে না কিন্তু তারপরও অনেকে আমরা চিবানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি চিপা এবং অনেকেই এটা মুখের আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে অনেকে ব্যবহার করে থাকে যা আসলে বদ হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য চুইংগাম মুখে রেখে কখনোই জীবাণু ঠিক নয় এতে দেখবেন আপনার বাতাস ভিতরে ঢুকবে এবং এর কারণে তাই আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে চান বা গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে চান সেক্ষেত্রে চুইংগাম চিবানো যাবে না
পেঁয়াজঃ আমরা সচরাচর এটা রান্নার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি এবং অনেকেই কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করে থাকি কিন্তু এটা যে আমাদের উপকার করে যেমন তেমন ক্ষতিও আছে পেঁয়াজের মধ্যে এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট ফ্রুটন থাকে যা আমাদের শরীরের হজমে ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে এবং এটা শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে আমাদের পরিপাকতন্ত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে এজন্য পেঁয়াজের খাট খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং অল্প পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে
আপেলঃ এটা একটি আমাদের সাধারণত সবাই পছন্দ করে থাকে এই ফলটি বিশেষ করে অসুস্থ রোগীদের কে সাধারণত আপেল জাতীয় ফলগুলো খাওয়ানো বেশি হয়ে থাকে কিন্তু এটা যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে সেটা হয়তো অনেকেই জানিনা যারা গ্যাস্ট্রিকের রোগী রয়েছেন তারা যদি আরো আপেল খেয়ান সেই ক্ষেত্রে আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে উপকার তো হবেইনা বরঞ্চ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেবে এজন্য অবশ্যই আপেল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা থাকতে হবে খুবই কম পরিমাণ খাওয়া যেতে পারে এটা তাছাড়া আপনার শরীরে এটা গ্যাস্ট্রিকের প্রভাব বৃদ্ধি করবে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্য আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন
উপরোক্ত এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আপনি ব্যবহার করে একবার দেখতে পারেন আশা করি আপনার গ্যাস ঠিক বদহজম কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url