গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
গর্ভাবস্থায় মটরশুটি খাওয়া যাবে কি
আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করতে এই মটরশুঁটি ব্যবহার করে থাকি এতে অনেক সুস্বাদু হয় এবং অনুপযোগ আরো পাওয়া যায় অনেক উপকারও পাওয়া যায় এটা সবজি হিসাবে তরকারি সালাত মাছভুনা পোলাও রান্না করতে লুডুস রান্না করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন প্রোটিন ভিটামিন সি ফলিক এসিড ভিটামিন এ ফসফরাস জিংক ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন কে ভিটামিন ইত্যাদি থাকে যা আমাদের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে পূরণ করে থাকে এছাড়াও পুষ্টিবিদরা এটা গর্ভবতী নারীদেরকে বেশি খেতে বলেন যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারেন
ফলিক অ্যাসিডঃ একজন গর্ভবতী মায়ের এই সময় প্রচুর পরিমাণ ফলের এসিড প্রয়োজন যা একজন গর্ভবতীর গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং ভিটামিন বি১১ খুবই প্রয়োজন তাই গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকেই গর্ভস্থ শিশুর মেরুদন্ড এবং মস্তিষ্ক বৃদ্ধি করার জন্য এটা খাওয়া প্রয়োজন এছাড়াও এই ফলিক এসিড আপনার শিশুকে নিউ নিউ রাল টিউব ত্রুটির সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারবে
গর্ভকালীন ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণঃ অনেক গর্ভবতীর সাধারণত এই সময় ডায়াবেটিস হয়ে থাকে যার কারণে তার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টকর হয়ে যায় এবং ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দিতে পারে তাই খাবারের মাধ্যমে এটা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে সে ক্ষেত্রে এই মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে
এরমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন মিনারেল ফাইবার কার্বোহাইড্রেট সুষম খাদ্য এবং প্রোটিন খাদ্য থাকে তাছাড়া গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাই আপনি অন্যান্য খাবারের সাথে এই মটরশুঁটির খাওয়া যেতে পারে এতে গর্ভবতী নারী উপকার হবে
প্রোটিনঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী নারীর প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন দরকার হয়ে থাকে যা আপনার গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাই প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এছাড়াও প্রোটিনের ভালো উৎস হিসেবে এই মোটর কাজ করে থাকে
ফাইবারঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা একজন গর্ভবতী মহিলার ভাই বোনের প্রয়োজন হয় ফাইবারের প্রয়োজন হয় সে খাদ্যের হজম এর ক্ষেত্রে দারুন কাজের এছাড়াও গর্ব অবস্থায় বাচ্চার ওজন বৃদ্ধি করার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাছাড়া এটা রক্তের প্রশ্ন করতে পারেন হাটের সমস্যা দূর করে এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এছাড়া যে এর সমস্যা থেকে দূর করতে অনেকে পালন করে থাকে
আয়রনঃ গর্ভবতী নারীর গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আয়রনের প্রয়োজন হয় এছাড়াও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে আয়রনের প্রয়োজন হয় তাই এই পুষ্টিকর খাবারটি খাওয়া খুবই প্রয়োজন এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যার রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করবে মধ্যে তাই একজন গর্ভবতী মহিলা অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সাথে এই মটরশুঁটি খেতে পারেন
ক্যালসিয়ামঃ গর্ভবতী নারীর সাধারণত গর্ভস্থ শিশুর হাড় গঠন করতে এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করার জন্য এই মটরশুঁটি খাওয়া যেতে পারে কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে কেমনে ক্যালসিয়াম রয়েছে এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে
জিংকঃ এরমধ্যে প্রচুর পরিমাণে জিংক আছে যা একজন গর্ভবতী মহিলার খুবই প্রয়োজন কেন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ধারণের কাজ করে থাকে গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির জন্য ভালো কাজ করে থাকে জন্মের ঝুঁকির ক্ষেত্রেও দারুন কাজ করে
বিভিন্ন ভিটামিনঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ম্যাঙ্গানিজ জ ভাইবার ভিটামিন কে এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করা
হজমে সহায়তাঃ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে যা আপনার হজমের ক্ষেত্রে দারুন কাজ করবে এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে এজন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের শালা সালাত তরকারি এর সাথে মিশিয়ে এই মটরশুটি খেতে পারেন বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা দেখা যায় যার কারণে আপনি মটরশুটে খেতে পারেন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি আর সংক্রমণ করতে পারেন যেমন জ্বর ঠান্ডা সর্দি-কাশি হয়ে থাকে এজন্য ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে তার মধ্যে আপনি মটরশুটি খেতে পারেন কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এবং ঠান্ডা সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করবে
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ এরমধ্যে ভিটামিন এ ই ও সি থাকেন এছাড়াও এই ভিটামিন গুলোকে সাধারণত এন্টিঅক্সিডেন্ট বলা হয় যা আপনার শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেল গুলো দূর করতে সাহায্য করবে এছাড়াও আপনার শরীরে যদি কোন ধ্বংসকারী কোষ বৃদ্ধি পায় সেটাও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে তাই আপনার শরীরে যদি ক্যান্সারের সময় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে ক্ষেত্রেও এটা খেতে পারেন এজন্য একজন গর্ভবতী মায়ের ধরন তো গর্ভস্থ শিশুর সুস্থ রাখার জন্য এবং নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ক্যান্সার ের থেকে পাওয়ার জন্য খাবারটি খাওয়া যেতে পারে
হৃদ যন্ত্র ভালো রাখেঃ গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভস্থ শিশুর হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারে যে মটরশুঁটি খাওয়া যেতে পারে কেননা এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বিশেষ করে রঙ্গিন শাকসবজি গুলোর মধ্যে থাকে এন্টি এক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার হার্টের সমস্যা দূর করবে এছাড়াও রক্তের কোলেস্ট করার নিয়ন্ত্রণ রাখবে যার কারণে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে
ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ অনেক গর্ভবতী মায়ের সাধারণত এই সময়ে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে কেননা এর মধ্যে ক্যালোরি খুবই কম থাকে ফাইবার বেশি থাকে যার কারণে আপনার অন্যান্য ক্যালরিযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহ কম থাকে তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে দারুন কাজ করে
হাড় ভালো রাখেঃ এর মধ্যে ভিটামিন কে থাকে যা আপনার চাহ এর চাহিদা পূরণ করবে এবং এছাড়াও ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম থাকে খরচ পদার্থ থাকে যা আপনার গর্ভস্থ শিশুর হার কে সুস্থ রাখবে এবং আপনাকেও গর্ভবতীর মাকেও সুস্থ রাখার জন্য খাওয়া যেতে পার
ত্বক ভালো রাখেঃ গর্ভবতী নারীদের সাধারণত এই সময় ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ব্রণ উঠে থাকে অথবা দাগ ওঠে যার কারণে আপনি এই ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য খুঁটি খেতে পারেন মটরশুটি খেতে পারেন কান্নাই এর মাঝে ভিটামিন সি থাকে এছাড়াও এন্ড্রু এক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করবে এছাড়া উজ্জ্বলতা ফিরে নিয়ে আসবে
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখেঃ গর্ভবতী নারীর সাধারণ ভিটামিন এর অভাব পূরণ করার জন্য মটরশুটি খাওয়া যেতে পারে কেননা গর্ভস্থ শিশুর দৃষ্টিশক্তি ভালো করার জন্য এবং রাতকানা রোগ যেন না হয় সেজন্য ভিটামিন এর প্রয়োজন যা আপনার মটরশুটির মধ্যে রয়েছে তাই নিয়মিত ভাবে এটা খেলে সরবস্তু শুধু শিশুর রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পাবে
মানসিক সুস্থতা রাখাঃ একজন গর্ভবতী মায়ের এই সময় মানসিক সুস্থতা রাখা খুবই জরুরী। যার কারণে শেরটোনিন হরমোনের প্রয়োজন হয় যা আপনার মটরশুটি খেতে পারেন কেননা এর মাঝে অ্যামাইনো এসিড ও শেরাটন ইন হরমোন বৃদ্ধি করার জন্য উপাদান থাকে যা আপনার মেজাজ খিটখিটে থাকবে না মন খারাপ হবে না এগুলো ভালো রাখার জন্য আপনি মটরশুটি খেতে পারেন
মটরশুটি কারা খাবেন না
এই মটরসিটি মোটরসাইটির আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে কিন্তু যদি এটা অতিরিক্ত খাওয়া হয় এবং কিছু লোকের খাওয়া যাবেনা যেমন যাদের আইবিএস এর সমস্যা রয়েছে পেটের সমস্যা রয়েছে তারা এই খাবারটি না খাওয়াই ভালো এছাড়াও এটা এক ধরনের শক্তি তাই এটা খাওয়ার পূর্বে কমপক্ষে 20 মিনিট আগে হালকা গরম পানির সাথে ভিনেগার মেশাবেন দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর এরপরে এই মটরশুঁটি খেতে পারেন বাচ্চাদের খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই পদ্ধতি গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন এরপরে খেতে দিবেন তাহলে অসুবিধা হবে না
মটরশুটি খাওয়ার অপকারিতা
প্রতিটি খাবারের জননো উপকার আছে তেমন অপকারও রয়েছে তাই মটরশুটি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে আপনার আর অসুবিধা হবে না চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক
একজন গর্ভবতীর যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে এটা না খাওয়াই ভালো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না কেননা এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে আর এটা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগ বৃদ্ধি করতে পারে এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি রয়েছে
এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তা যা গর্ভবতী নারীর অতিরিক্ত ফাইবার খাবার যদি গ্রহণ করে সে ক্ষেত্রে আয়রন ক্যালসিয়াম কার্যকারিতা ক্ষমতা কমে যায় এবং শোষণের ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে থাকে
যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে এবং আইবিএস এর সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই খাবারটি না খাওয়াই ভালো না এর মাঝে অতিরিক ফাইবার থাকার কারণে অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা বৃদ্ধি পাবেন এবং ডায়রিয়া হতে পারে এছাড়া পেট ব্যথা এবং পেট ফুলে যেতে পারে তাছাড়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে
যাদের অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এই মটরশুটি খাওয়া থেকে বির ত থাকবেন কেননা এলার্জির সমস্যা বেশি থাকে তাই এটা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যদি আপনি এটা খাওয়ার পরে অসুবিধা না হয় সেক্ষেত্রে পরিমাণ মতো খেতে পারেন আর যদি অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে এই খাবারটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন যদি এই ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই তারপরও অসুবিধা হলে বন্ধ রাখাই ভালো
আপনি যদি গর্ভবতী হন সে ক্ষেত্রে আপনার পোস্টের চাহিদার প্রয়োজন রয়েছে পুষ্টির চাহিদার প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু যদি মটরশুটি আপনি খেতে পারেন কেন অনেক উপকার রয়েছে কিন্তু প্রথম অবস্থায় কয়েকটি ঘরে কয়েকটি খেয়ে আগে দেখতে পারেন যদি অসুবিধা না হয় সে ক্ষেত্রে পরিমাণ মতো খেতে পারেন এটা আপনার পুষ্টির চাহিদা মিটাবে পূরণ করবে কিন্তু যদি অসুবিধা হয় সে ক্ষেত্রে এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন যদিও এই ক্ষেত্রে তেমন কোন অসুবিধা হয়নি তাই পরিমাণ মতো খাওয়া যেতে পারে
এম আর মাহমুদ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url